রংপুর সদর উপজেলায় ফোন করে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে রিপন ও তার সহযোগীরা।

বৃহস্পতিবার রাতে নগরীতে এ ঘটনার পর রাত দেড়টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েটিকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার ভোর ৪টায় রিপনকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

স্বজনদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে পাশের এলাকার রিপনের ফোন পেয়ে তার বাড়িতে যায় মেয়েটি। এ সময় রিপন ও তার সহযোগীরা মেয়েটিকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। পরে অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে তার বাড়ির পেছনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

এ বিষয়ে মেয়ের ভাই বলেন, আমার বোনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শুক্রবার ভোরে অভিযুক্ত রিপনকে আটক করা হয়। বাকিদের আটক করতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিয়া যুগান্তরকে বলেন, আটক রিপন ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে সে একাই ছিল এবং মেয়েটি তার গার্লফ্রেন্ড বলে দাবি করেছে রিপন।

মেয়েটি সুস্থ হলে এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না তা আমরা ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।

আপনার অভিমত