ধর্ষণ মামলায় জেলার পাটগ্রাম সরকারি জসিমুদ্দিন কাজী আবদুল গনি কলেজের শিক্ষক আবদুল মোতালেব এরশাদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার লালমনিরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এ রায় দেন।

২০১৪ সালে দায়ের করা এক মামলায় আসামি এরশাদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

এরশাদ জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার আবদুল সাত্তারের ছেলে বলে জানা গেছে।

পাটগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আবদুল মোতালেব এরশাদ ৩৩তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৪ সালের পাটগ্রাম সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু তার যোগদানের দিনই তিনি ধর্ষণসংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার হলে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এখন পর্যন্ত এরশাদ বহিষ্কৃত অবস্থায় আছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিজ এলাকার কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন আবদুল মোতালেব। পরে ঘটনার শিকার ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা টালবাহানা শুরু করেন এরশাদ। এই অবস্থায় ২০১৪ সালে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় এরাশদকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর কিছুদিন কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে আসেন কলেজশিক্ষক এরশাদ। সোমবার মামলার রায়ের পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এরশাদকে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান ধর্ষণ মামলার আসামি আবদুল মোতালেব ওরফে এরশাদের যাবজ্জীবন ও জরিমানার বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।

আপনার অভিমত