চীনের মহাপরিকল্পনায় নাম ‘মেড ইন চায়না: ২০২৫’। সেই মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে রীতিমত চিন্তিত যুক্তরাষ্ট্র। আর মাত্র কয়েকটা বছর। তারপরই বিশ্ব জুড়ে জাল বিস্তার করবে চীন। বছর তিনেক আগেই এই পরিকল্পনা নেয় বেইজিং। আর তাতেই রীতিমত ভয় পেয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র!

বর্তমানে চীনে তৈরি জিনিস সস্তায় মিললেও তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। আর সেটা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে চায় বেইজিং। ‘মেড ইন চায়না: ২০২৫’ নামে এই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। চীনের সবচেয়ে বড় শক্তি হল এই ম্যানুফাকচারিং। আর তাকেই এবার কাজে লাগাবে চীন। পরিকল্পনাটি তিন ধাপের। ২০২৫ সাল সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ মাত্র।

চীন এতদিন যেভাবে পণ্য তৈরি করে এসেছে, সেখানে একটা আমূল বিপ্লব ঘটাতে চাইছে। পরিকল্পনাটি তিন ধাপের। ২০২৫ সাল সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ মাত্র। ২০২৫ সাল নাগাদ চীন যত পণ্য তৈরি করবে, তার সবকিছুর মান তারা বাড়াতে চায়। এমন কিছু চীনা ব্র্যান্ড তারা তৈরি করতে চায়, যেগুলো কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়বে পুরো বিশ্ব।

পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে ২০৩৫ সাল নাগাদ চীনা সংস্থাগুলো বিশ্বের বাকি সব কোম্পানিকে প্রযুক্তিতে, পণ্য মানে এবং সুনামে ছাড়িয়ে যেতে চায়। আর ২০৪৯ সালে, আধুনিক চীন যখন তার প্রতিষ্ঠার একশো বছর উদযাপন করবে, তখন তারা ম্যানুফ্যাকচারিং এ বিশ্বের এক নম্বর শক্তি হয়ে উঠতে চায়। এজন্যে চীন দশটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও চিহ্ণিত করেছে। এর মধ্যে আছে সেমিকন্ডাকটার চিপ থেকে শুরু করে উড়োজাহাজ, রোবটিক্স থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক কার, হাইস্পীড রেলওয়ে থেকে ওশেন ইঞ্জিনীয়ারিং।

এই মহাপরিকল্পনায় সরকার বিপুল সহায়তা দিচ্ছে সব সরকারি-বেসরকারি কোম্পানিকে। এই উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যা যা দরকার, তার সবই করছে তারা। আর্থিক প্রণোদনার পাশাপাশি গবেষণা এবং উদ্ভাবনেও (আরএন্ডডি) সাহায্য করা হচ্ছে।

সামরিক বাহিনী এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে বলা হচ্ছে। মেড ইন চায়না : ২০২৫ সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে চীনা কম্পানি আর চীনা ব্র্যান্ড বিশ্ব বাজারে চীনা আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এটাই যুক্তরাষ্ট্রকে বিরাট দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।

আপনার অভিমত