দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যে পাড়া-মহল্লা, অফিস-আদালত, স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়ে গেছে যুক্তি-তর্ক আর গল্প। কে সেরা? আর্জেন্টিনা না ব্রাজিল? নাকি জার্মানি, স্পেন? সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ফুটবল উন্মাদনা। এই নিয়ে আজ ব্রাজিল সমর্থকদের বিশেষ সংবাদ সম্মেলন।
উপস্থিত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া থেকে আগত আমার সাংবাদিক বন্ধুরা এবং ব্রাজিল সমর্থকবৃন্দ।
আপনারা জানেন, কেন আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। ব্রাজিল একটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক ফুটবল দল। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ যুগ যুগ ধরে তাদের প্রাণপ্রিয় ফুটবল টিম ব্রাজিলকে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে প্রিয়দল ব্রাজিলকে সমর্থন দিতে যাচ্ছে।
কিন্তু তারা, মানে আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বলে যারা নিজেদের দাবি করেন (যদিও আমরা কাউকে প্রতিপক্ষ বলে মনে করিনা) সেই আকাশী নীল জার্সিধারীরা ইতিমধ্যে ফুটবল উন্মাদনার নামে নীল নকশা আঁকা শুরু করে দিয়েছে।
বিশ্বকাপ ফুটবল আসার আগেই আমাদের কয়েকজন শান্তশিষ্ট, অমায়িক ভদ্র ব্রাজিল সমর্থককে তারা পাড়া-মহল্লায়, স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি অফিস-আদালতে ‘সেভেন-আপ’ বলে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেছে।
অবশ্য তাঁদের কাজই হলো ব্রাজিল সমর্থকদের পায়ে পারা দিয়ে বিবাদ করা। কারণ, তাঁদের নিজেদের পায়ের তলায় কোন মাটি নেই।
তারা দিনকে দিন উত্ত্যক্তকারী দলে পরিণত হয়েছে। এই জঘন্য, বর্বরচিত কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানাই। বন্ধুগন,আমাদের প্রাণের জার্সির রং হলুদ মানে উৎসব, আনন্দ এবং সাম্বার তালে তালে ফুটবল।
সবাই জানেন সরিষা ফুলের রং হলুদ। সেই সরিষা ফুল থেকে আমরা মধু পাই। অথচ, দলকানা আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা হলুদ সরিষায় মধু দেখতে পান না।
তারা হলুদ সরিষার মধ্যে কেবল ভূত দেখতে পান। অথচ তাদের জার্সির রং আকাশী-নীল হলেও তাদের মন আকাশের মতো বিশাল নয়।
ঝকঝকে, তকতকেও নয়,তাদের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। প্রিয় বন্ধুগন, বাংলাদেশের কোটি কোটি ফুটবল সমর্থকেরা তাদের এই হীন মন-মানসিকতার জবাব ফুটবল মাঠেই দেবে।
আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। যাওয়ার সময় আপনারা খিচুড়ি নিয়ে যাবেন। ইচ্ছে করলে বিরিয়ানি, তেহারী দিতে পারতাম কিন্তু আপনারা জানেন খিচুড়ির রং হলুদ। আর হলুদ আমাদের কাছে এক আবেগের নাম!
– সাধারণ সম্পাদক, ব্রাজিল সমর্থক গোষ্ঠী

আপনার অভিমত