জাকারিয়া স্বপন::::

বঙ্গবন্ধু-১ সাটেলাইট আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তির বিষয়। ভালো লাগার বিষয়। ভালো না লাগার তো কোনো কারণও নেই। দেশের সবার মতো আমাদের এ মহাকাশ যাত্রায় মহা আনন্দে আমিও। খুশি। মহাকাশে উৎক্ষেপনকৃত স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ আমরা না বানালেও এর মালিক বাংলাদেশই। স্যাটেলাইটটি তো আমরাই ব্যবহার করব। আমরাই এর মালিক। এটা আমাদের গৌরবান্বিত করে।

উৎক্ষেপনকৃত স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ অর্ধেক আমরা ব্যবহার করব, বাকি অর্ধেক বিক্রি করে দেব। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে বিটিআরসি বলেছে। অর্ধেক আমাদের দেশের টেলিভিশনগুলো ব্যবহার করবে। ডিটিএইচ সেবা। অর্থাৎ বর্তমানে কেবল টিভির যে সংযোগ আছে সেটির মান উন্নয়ন করা।

সেখানেও তা ব্যবহার হবে। যেখানে ইন্টারনেট এক্সেস নেই এখনো সেসব জায়গায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট দিইনি। সেটা আমরা সাবমেরিন ক্যাবল বা সাইবার অপটিক দিয়ে দিই। এখন যেহেতু নিজেদের স্যাটেলাইট রয়েছে তা ব্যবহার করা যেতে পারে।

কোথায় থেকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করলে ভালো হবে বিটিআরসির সিদ্ধান্ত। তারা যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে। আমাদের যেহেতু নিজস্ব ক্যাপাসিটি নেই, ফলে কোনো  কোনো বিদেশি সংস্থা বা দেশের উপর নির্ভর করতেই হবে। আমেরিকা থেকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের  ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ হয়তো বিবেচনায় নিয়েছে ওখান থেকে প্রচুর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন হয়, সে কারণে হয়তো তারা মনে করেছেন তা আমেরিকা থেকে হতে পারে। রাশিয়া বা অন্যকোনো দেশেও হতে পারত। কিন্তু সবচেয়ে বেশি এক্সসোরিজ আমেরিকাতে, হয়তো সে কারণেই সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রথম এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডেফেনেটলি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের জন্য আমেরিকা বেস্ট প্লেস। ভালো জায়গাটাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে, যাতে কারও কোনো ডাউট না থাকে। আমার মনে হয় আমেরিকা থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপনের সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল।

আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাগিরি থেকে নিজেদের রক্ষার ক্ষেত্রে এ স্যাটেলাইট কিছু ইয়েস, কিছুটা নো। আমরা যখন অন্যদের স্যাটেলাইট ব্যবহার করি তখন তো অন্যদের একটা এক্সেস থাকেই। কিন্তু এখন যেভাবে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাগিরি হয় তাতে আমাদের ততটা ব্যবহার করে না। আমেরিকা-রাশিয়া নিজেরাই আমাদের স্যাটেলাইট বানিয়েছে, আমরা তো তাদের উপর কিছুই করতে পারব না। ইন্টারনেটের গোয়েন্দাগিরি যা করার তা তারা করবেই।

আপনার অভিমত