রংপুরের পীরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসের এসএএও আব্দুল হালিম চাকুরীর পাশাপাশি একজন কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী। এর খপ্পরে পরে কৃষি অফিসের অনেক কর্মকর্তা দাদনের টাকা নিয়ে পথে বসেছে। অনেকেই তার দাদনের টাকা সুদ-আসলে পরিশোধ করার পরও সে আরো টাকার দাবী করে। এর প্রতিকার চেয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের রজ্জব আলীর পুত্র গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বজলার রহমান রাজা পীরগাছা কৃষি অফিসের (এসএএও) আব্দুল হালিমসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে গাইবান্ধা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪৮৭/১৭। এই মামলায় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে মামলার ৭ জন আসামীর বিরুদ্ধে ১২ (এপ্রিল) ১৮ ইং তারিখে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়। যার স্বারক নং-৯০(৭)১৮। এই গ্রেফতারী পরোয়ানা মুলে রংপুরের পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ওই মামলার ৪ নং আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হওয়ার পরেও পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে তাকে বেতন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও গত ২৬-০৯-১৭ ইং তারিখে এসব অনৈতিক কার্যকলাপের তদন্ত করে উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর, যার স্বারক নং-১২৫২(২) তারিখ-০৬-০৯-১৭। এ তদন্তেও প্রমানিত হয় কৃষি অফিসের এসএএও আব্দুল হালিম একজন কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী এবং বিভাগীয় কাজে ফাঁকীবাজ। অভিজ্ঞ মহলের দাবী আদালত কৃর্তক একজন গ্রেফতারী পরোয়ানা আসামী হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে সে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করেন। এর বিভাগীয় তদন্তসহ আব্দুল হালিমের অনৈতিক কার্যকলাপের বিচার দাবী করছে ভুক্তভোগী মহল।

আপনার অভিমত