আসন্ন ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে তত বেশি কোরবানির পশু আমদানি হচ্ছে। যে অনুপাতে পশু আমদানি হয়েছে সে অনুপাতে পশু বিক্রি হচ্ছে না। পশু ব্যবসায়ী ও খামারিরা চরম হতাশায় রয়েছেন।

আক্কেলপুরে হাটে পশু আছে ক্রেতা কম

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রতিটি হাটেই প্রচুর গরু-ছাগল উঠছে। স্থানীয় গৃহস্থদের পাশাপাশি কোরবানির পশু ব্যবসায়ীরাও হাট-বাজারে গরু-ছাগল আমদানি করছে। তবে এবার হাট-বাজারে বিদেশি গরুর চেয়ে দেশি গরুর আমদানি বেশি হচ্ছে। এছাড়া হাট-বাজারগুলোতে দেশি জাতের গরুর কদর বেশি। তবে এবার হাট-বাজারে বিগত বছরের মতো ক্রেতার দেখা মিলছে না।

অধিকাংশ হাট-বাজারে ক্রেতার চেয়ে কোরবানির পশুর আমদানি বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষকরা এ বছর বন্যার কারণে এবং পাট চাষ করে লোকসান হওয়ায় কোরবানির পশু কিনতে পারছে না। সে কারণে এ বছর হাট-বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম। একই কারণে হাট-বাজারে তেমন একটা কোরবানির পশু কেনা-বেচা হচ্ছে না। তা ছাড়া এখনো সময় হাতে থাকায় ক্রেতারা পশু না কিনে হাট-বাজারে ঘুরে বাজার যাচাই করায় কেনা-বেচা কম হচ্ছে।

আক্কেলপুর পৌর সদরের কলেজ হাটে কোরবানির পশু কিনতে আসা ক্রেতা মিলন হোসেন বলেন, এ বছর কোরবানির পশুর বাজার দর একটু কম। গত বছর যেসব গরু ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এ বছর একই ধরনের গরু ৫৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকায় কেনা যাচ্ছে। ছাগল-মহিষের দামও হাতের নাগালে। তবে বাজার মন্দা হওয়ায় স্থানীয় গরু বিক্রেতা ও বেপারিরা হতাশ।

সরেজমিনে গতকাল রবিবার দুপুরে তিলকপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, হরেক রকমের দেশি গরুতে বাজার ভরে উঠেছে। কোরবানি দেওয়া হবে এমন প্রতিটি গরু ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যেই কেনাবেচা হচ্ছে। তবে লাগাতার বন্যার কারণে গরুর দাম প্রত্যাশা অনুযায়ী পাচ্ছেন না বলে জানান বিক্রেতারা।

আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাকিম বলেন, কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতনতার জন্য প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ভেটেরিনারি সার্জনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। অসুস্থ পশু যাতে বাজারে না আসে, সে জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার অভিমত