সাম্প্রতিককালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আমন চাষিদের ভরসা এখন নাবী জাতের ধানের চারা। সরকারিভাবে গঙ্গাচড়াস্থ হর্টিকালচার সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে বীজতলা।

জানা যায়, বন্যায় কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারিভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এরকম স্বল্পমেয়াদি জাতের ধান বিআর-২৩-এর চারার জন্য বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হর্টিকালচার সেন্টারে ১ একর ৬০ শতক জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী এসব চারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। চারা লাগানোর বয়সও হয়েছে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে চারা উত্তোলন ও সরবরাহ শুরু হবে বলে জানা যায়।

গঙ্গাচড়াস্থ হর্টিকালচার সেন্টার, বুড়িরহাট রংপুরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তৌহিদুল ইকবাল বলেন, চারা লাগানোর বয়স হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্যা কবলিত এলাকার জন্য এসব চারা উত্তোলন ও সরবরাহ করা হবে। এ চারা দিয়ে মোটের উপর ৩০ হেক্টর জমি লাগানো যাবে বলে তিনি মনে করেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। স্বল্প মেয়াদি এ জাতের ধান হতে সময় লাগে প্রায় ১শ দিন। তবে তিনি আশঙ্কা করছেন আবারো বন্যা হয় কিনা।

আপনার অভিমত