দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই ঈদে ঘরে ফেরার আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এবার ঘরমুখী মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। গত কয়েকদিনের অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে দেশের সড়ক মহাসড়কগুলোর বেহাল দশা হয়েছে। দেশের ২৩টি পয়েন্টে ১ থেকে ৩ কিলোমিটার রাস্তা হয় পানিতে ডুবে আছে নয়তো উপরের স্তরের পিচ ধুয়েমুছে চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে।

বৃষ্টিতে বেহাল মহাসড়ক, বাসযাত্রায় আগ্রহ কম

উত্তরাঞ্চলের সড়কে ১৫৬টি পয়েন্ট বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ঈদযাত্রার সময় বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন খোদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। এসব কারণে এবার ট্রেনের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে সবার। গতকাল রাজধানীর কমলাপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট প্রত্যাশীদের ভীড় অতীতের যে কোনো ঈদযাত্রার সময়কার সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ভিড় সামলাতে রেল কর্তৃপক্ষ স্টেশনে প্রবেশের একটি গেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  বলেছেন, ঈদুল আজহার আগের দিনগুলোতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সড়কপথে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করা চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে।  তিনি বলেন, পানিতে ডুবে থাকা পয়েন্টগুলো এই মুহূর্তে সংস্কার করা কঠিন। তারপরও যদি বৃষ্টি না হয়, আমরা আশা করছি ঈদের আগেই রাস্তাগুলো কিছুটা ব্যবহারযোগ্য করা যাবে।

বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সোহাগ পরিবহনের মালিক ফারুক তালুকদার সোহেল বলেন, সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশার কারণে এবার গত ঈদের তুলনায় ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বড় সমস্যাস্থল ফেরিঘাট। আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে ‘সিন্ডিকেট সমস্যা’।

এদিকে, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ট্রেনের আগাম  টিকিট বিক্রির পঞ্চম ও শেষ দিন ছিল গতকাল। এদিন ৩১টি আন্তঃনগর ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের ২২ হাজার ৪৯৬টি টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। ৩৫ শতাংশ টিকিট কোটার জন্য রেখে বাকি টিকিট কাউন্টারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঈদের বিশেষ ট্রেনের জন্য টিকিট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬০৬টি। টিকিটের জন্য অনেকে গভীর রাতে এসে লাইনে দাঁড়ান। কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পরও টিকিট না পেয়ে অনেককে হতাশ হয়ে ফিরতে দেখা গেছে।

আপনার অভিমত