কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রোপা আমনের চারার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নষ্ট হয়ে যাওয়া আমন ক্ষেতের জমিতে নতুন করে চারা লাগানো শুরু করেছে কৃষকরা। কিন্তু উপজেলার কোথাও রোপা আমনের চারার মজুত না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। তাই অগত্যা উচুঁ এলাকার আমন ক্ষেত চড়া দামে কিনে সেই চারা তুলে জমিতে লাগাচ্ছেন বন্যা কবলিত এলাকার অনেক কৃষক।

ফুলবাড়ীতে আমন চারার তীব্র সংকট

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলায় প্রায় এগার হাজার দুইশ হেক্টর জমিতে আমন চাষ  হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মৌসুম শুরুর প্রথম দিকেই কৃষকরা চাহিদা মত জমিতে আমন ক্ষেত লাগিয়েছেন। তাই আগেই শেষ হয়েছে বীজতলার চারা। কিন্তু লাগানোর মাস খানেক পর ধান গাছ বড় হলে বন্যা এসে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চারার সংকট দেখা দিয়েছে নতুন করে।

উপজেলার বড়ভিটা গ্রামের কৃষক নুর জামাল জানান, বন্যার পানিতে তিন বিঘা আমন ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ওই জমিতে নতুন করে চারা রোপনের জন্য শিমুলবাড়ী এলাকার কৃষক আব্দুল কাদেরের বিশ শতক জমির আমন ক্ষেত চারা হিসাবে কিনেছেন তিনি পাঁচ হাজার টাকায়।

বুদারবান্নী গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান,আড়াই বিঘা জমির আমন ক্ষেত বানের পানিতে পচে গেছে। ষোলশ টাকার চারা কিনে আধা বিঘা রোপন করেছি। চড়া দাম দিয়েও বাকি চারা পাচ্ছি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহাবুবুর রশিদ জানান, বন্যায় প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। জমি ফেলে না রেখে অনেক কৃষক পেটের ভাত জোগাড়ের জন্য নতুন করে ওই জমিতে আমন চারা রোপন শুরু করেছে। ফলে চারা সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে চারা সরবরাহের আবেদন জানিয়ে উপর মহলে চিঠি দেয়া হয়েছে।

আপনার অভিমত