বিড়ি শিল্প বন্ধ করা হলে সেটা সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন হারাগাছ-সরাই-মর্নোয়া বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি।

তিনি বলেন, দেশের ২১ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষোভাবে বিড়ি শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এই শিল্প বন্ধ হলে তাদের আর কোনো গতি থাকবে না। তখন আমরা বাধ্য হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে হবে। তবে আমরা জানি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষন। তিনি শুধুমাত্র অর্থমন্ত্রীর পরামর্শে এমন সিদ্ধান্ত নেবেন না।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রংপুর জেলা শহরের অদূরে হারাগাছ পৌরসভা এলাকায়  এসব কথা বলেন এ শ্রমিক নেতা।

তিনি  বলেন, বিড়ি শিল্প থেকে সরকার অনেক ট্যাক্স পান। ১ হাজার বিড়ি বিক্রি হয় ৫২০ টাকায় যার অর্ধেকের বেশি ২৬৯ টাকা সরকার পায়। আমরা শ্রমিকরা পাই মাত্র ৩৭ টাকা। তাহলে তারা আমাদের পেটে কেনো লাথি মারবে। এছাড়া বিড়ি শিল্পের সব টাকা দেশে থাকে, কিন্তু সিগারেটের সব টাকাইতো দেশের বাইরে যায়। বিড়ি মালিকরা দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন বা করছেন, কিন্তু সিগারেটের মালিকরা কি করছেন।

স্থানীয় হারাগাছ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সুদেব চন্দ্র রায় বলেন, এ অঞ্চলের যত উচ্চ শিক্ষিত মানুষ সবাই কোনো না কোনো ভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলো। সবাই ছোট সময়ে বিড়ি বানানোর কাজে জড়িত ছিলো। আমি নিজেও আমাদের তামাকের খেতে কাজ করেছি।

তিনি বলেন, এ এলাকার যতো মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, এতিমখানা রয়েছে অধিকাংশই বিড়িশিল্প মালিকদের অবদান। এ এলকার বিড়ি শিল্প বন্ধ হলে এসব ধর্মীয়ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান অবহেলিত হয়ে পড়বে।

আমাদের কলেজ পুরোটাই রহিম উদ্দিন ভরসার অবদান। আমরা সরকারি কিছুই পাইনা। কিন্তু লেখা পড়ায় আমাদের কলেজ পিছিয়ে নেই। গতবছরও আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ৫ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। তারাও বিড়ির কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলো।

এজন্য বিড়ি ক্ষতিকর হলেও সরকার চাইলেই এ এলাকা থেকে বিড়ি শিল্প বন্ধ করতে পারবে না বলে মনে করেন এই শিক্ষক।

 

আপনার অভিমত