কুড়িগ্রামের প্রধান-প্রধান নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে যাচ্ছে চিলমারী উপজেলার নিন্মাঞ্চল। বাড়তে শুরু করেছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্নাঞ্চল, দ্বীপচর ও নদনদী তীরবর্তী এলাকার মনুষজন। গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং তা অব্যাহত থাকায় তা বিপদ সীমা ছুই ছুই করছে। এই গতিতে পানি বাড়লে দু’চারদিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। 
পানি বাড়ার ফলে এরই মধ্যে কয়েকশত পরিবার পানিন্দী হয়ে পড়েছে।

ডুবে গেছে পাট, আউস, সবজিসহ কিছু ফসল। এছাড়াও ভাঙ্গনে গৃহহীন হয়েছে কয়েকশ পরিবার। চিলমারীর অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, চিলমারী সহ কয়েকটি এলাকার নিন্মাঞ্চলের বীজতলা ও পাটক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে এরিপোট লেখা পর্যন্ত বিপদসীমার দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফা জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়াতে থাকায় ইউনিয়নের বজরা দিয়ারখাতা, ফেচকা, উত্তর খাউরিয়াসহ কয়েকটি চরের প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বেশি করে বিপাকে পড়েছে পাট চাষিরা ইতি মধ্যে প্রায় ৪০ভাগ পাট নষ্ট হয়েছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, চিলমারী চরসহ বিভিন্ন চরের মানুষ। অষ্টমীর চর ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব জানান, এই ইউনিয়নে ব্রহ্মপূত্রের ভাঙ্গনে প্রায় ২৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। আর পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকশত পরিবার। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা মুরাদ হাসান বেগ বলেন, বন্যা মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

আপনার অভিমত