রংপুর থেকে: ‘কিছুই বাচপার পারি নাই, সব নদী নিয়া গেইছে। ত্রাণের অনেক চাল পাইছি, এতো চাল রাখপার যায়গা নাই তাই বিক্রি করি দিছি। টাকার দরকার আছিল। এ টাকা দিয়া ঘর তোলমো।’ নগদ ১০ হাজার টাকা পেয়ে এমনটাই বলেছেন তিস্তা নদীর ভাঙনের শিকার বৃদ্ধ আবেদ আলী।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ও গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছোট রুপাই এবং আলমার বাজার এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙনের শিকার দুইশ’ পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার সময় ক্ষতিগ্রস্ত নারী-পুরুষরা এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

পাঁচশ টাকার ২০টি নোট হাতে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলে বৃদ্ধা রহিমা বেগম (৭০)। খুশিতে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলে ‌‘এমন উপকার কায়ো করে নাই বাহে’।

বাংলাদেশ মোজাইক মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ টাইলস ডিলারস অ্যান্ড ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে নদী ভাঙনের শিকার দুইশ’ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য নগদ ২০ লাখ টাকা বিতরণ করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মোজাইক মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রিয়াজুল আহসান, বাংলাদেশ টাইলস ডিলারস অ্যান্ড ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. ইউসুফ, বাংলাদেশ মোজাইক মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম রসুল বেলাল, আনোয়ারুল হক, ইউসুফ হালদার ও মিজানুর রহমান কচি প্রমুখ।

 

আপনার অভিমত