রংপুরে মিষ্টি কুমড়া উৎসবে সার্কভুক্ত দেশের প্রতিনিধিরা
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা নদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চল ঢুষমারা চরে মিষ্টি কুমড়া উৎসব পালিত হয়েছে। এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সার্কভুক্ত দেশের কৃষি ফোরামের প্রতিনিধিরা।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলা করে বৈরী পরিবেশে কৃষি ফসল উৎপাদন করে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্য নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। বুধবার দিনব্যাপী এ উৎসব কিষান-কিষানি পরিবারগুলোর মিলনমেলায় পরিণত হয়।
এ উৎসব উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সার্কভুক্ত দেশের কৃষি উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী, কৃষিবিদ, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও অভিজ্ঞতা অর্জন নিয়ে বিভিন্ন সেশনে আলোচনা করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে আরডিআরএস মিলনায়তনে এক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সার্ক পরিচালক বাংলাদেশ এর ড.এসএম বখতিয়ার। প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাবেক সচিব নাজমুল আহসান।
বুধবার সার্কভুক্ত দেশের প্রতিনিধিরা কিষান-কিষানিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে ব্র্যাকের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. কবীর একরামূল হক, বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কাজী মো. সাইফুল ইসলাম, ভুটানের প্রতিনিধি কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের কৃষি-বিপণন সমন্বয় বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মিস পিমা উইদিন, মালদীপের মৎস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিহভান, কৃষি কর্মকর্তা আবুবাকারু মোহাম্মদ, নেপালের প্রতিনিধি কৃষিবিদ বৈদ্যনাথ মাহাতো, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি উন্নয়ন সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ড.রুদ্র বাহাদুর শ্রেষ্ঠা, পাকিস্তানের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও গবেষণা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র যুগ্ম সচিব ড. জাভেদ হুমায়ুন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্লান্ট বিজ্ঞান বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ আনজুম আলী, শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কৃষি উন্নয়ন) ডব্লিউএজি সিসিরা কুমারা, কৃষি গবেষক ড. আরএসকে কৃতিসেনা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রংপুর আঞ্চলিক অতিরিক্ত উপপরিচালক শাহ আলম, প্র্যাক্টিক্যাল অ্যাকশন কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান প্রমুখ।
উত্তরাঞ্চলের নদীর পতিত চরের জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে স্থানীয় কিষান-কিষানিরা বিপুল পরিমাণ কৃষি অর্থনীতি গড়ে তুলেছে, তা প্রত্যক্ষ করেন সার্কভুক্ত দেশের প্রতিনিধিরা।
২০০৯ সাল থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত চরের অনাবাদি জমিতে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা হয়। যার আর্থিক বাজারমূল্য ৮১ কোটি ১২ লাখ টাকা।
চলতি বছরে রংপুরের ২২৫ হেক্টর চরের জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা হয়েছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রংপুর আঞ্চলিক উপপরিচালক ড. সরওয়ারুল হক।